রাসূল সা. এর প্রোডাকটিভিটি হ্যাক
(পর্ব ০১)
প্রোডাকটিভিটি হ্যাক বলতে আমরা এমন কিছু বুঝি যা ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক কাজ গুছিয়ে করতে সাহায্য করে। আজ রাসূল সা. এর জীবনাচারণ থেকে আমরা কিছু প্রোডাকটিভিটি হ্যাক সম্পর্কে জানবো ইনশাআল্লাহ। এগুলো দুনিয়া ও আখিরাত উভয় স্থানের কল্যাণের জন্য প্রযোজ্য।
কারণ শেষ নবী মুহাম্মদ সা. হচ্ছেন বিশ্ব মানবতার জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। আল কুরআন ও রাসূল সা. এর সুন্নাহ থেকে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় ক্ষেত্রেই মানুষ উপকৃত হয়। আর এটা সব যুগের সকল মানুষের জন্যেই প্রযোজ্য।
ফজর ও আছরের নসিয়ত
রাসূল সা. ফজর ও আছরের নামাজের পর মুসল্লিদের দিকে ঘুরে কথা বলতেন। এটা ছিল তাঁর প্রতিদিনের রুটিন। এই দুই নামাজের পরে তিনি সুন্নত বা নফল নামাজ পড়তেন না। সাহাবীরাও পড়তেন না। বরং এই নসিয়তের প্রতি সবাই মনোযোগী থাকতেন। রাসূল সা. খুব অল্প সময়ে ফজর ও আছরের নসিয়ত শেষ করতেন।
জুম্মার খুতবা
রাসূল সা. সপ্তাহে একদিন মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিতেন। এটা ছিল শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে। ফজর ও আছরের পরে যে নসিয়ত করতেন এই খুতবা তার থেকে একটু দীর্ঘ হতো।
ঈদের খুতবা
এছাড়া বছরে দুই ঈদের নামাজের পর রাসূল সা. খুতবা দিতেন। আর ঈদ ছিল মুসলিমদের উৎসবের দিন।
বস্তুত রাসূল সা. তার সাহাবীদের নিয়ে বিভিন্ন সময় মিটিং করেছেন। তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু ফজর ও আছরের পরের নসিয়ত এবং জুম্মা ও দুই ঈদের খুতবা নিয়মিত দিতেন।
মূলত যেকোনো কাজ নিয়মিত করলে তাতে অনেক বেশি বরকত পাওয়া যায়। যিনি নিয়মিত প্রাকটিস করেন তিনি এই বরকত উপলব্ধি করতে পারেন।
এই নসিয়তের মধ্যে কী কী থাকতো?
- রাসূল সা. সাহাবীদেরকে দ্বীনের শিক্ষা দিতেন,
- বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিতেন,
- সাহাবীদের খোঁজ খবর নিতেন,
- তাদের মধ্যে কাজ বিতরণ করতেন।
এখান থেকে আমরা কী শিক্ষা নিতে পারি?
আধুনিক যুগে প্রাতিষ্ঠানিক বা দাপ্তরিক কাজে এখানে থেকে শিক্ষা নেয়ার সুযোগ আছে। তুলনা করলে আমরা এভাবে শিক্ষা নিতে পারি (সংযুক্ত ছবি লক্ষ্য করুন)।


0 Comments
Do not post spam link in the comment box