জমজমের পানি যে উদ্দেশ্য নিয়ে পান করবে তা পূরণ হবে
আরবি ভাষায় 'জমজম' অর্থ অঢেল পানি আর তিবরানি ভাষায় জমজম অর্থ 'থাম থাম'। শিশু ইসমাঈলের পায়ের নিচে পানির ফোয়ারা দেখে হাজীরা বলেছিলেন, জমজম (থাম থাম)।
অনেকের ধারণা, এ থেকেই এর নাম জমজম হয়েছে। জমজমকে রাকদাতু জিবরিল ও বির-ই-ইসমাঈলসহ ১২টি নামে অভিহিত করা হয়।
সহিহ হাদিসে বিধৃত হয়েছে যে নবীজি (সা.) নিজে জমজম থেকে পানি পান করেছেন।
হজরত আবু জর (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘জমজমের পানি বরকতময়, স্বাদ অন্বেষণকারীর খাদ্য।’
মুসনাদে তায়ালুসিতে এই হাদিসের একটি বর্ধিত অংশ উদ্ধৃত হয়েছে—‘এবং রোগীর ঔষধ।’
আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজের সঙ্গে পাত্রে ও মশকে করে জমজমের পানি বহন করতেন। তা অসুস্থদের ওপর ছিটিয়ে দিতেন এবং তাদের পান করাতেন।
(সুনানে তিরমিজি)।
এ বর্ণনা থেকে এ কথাও জানা যায় যে জমজমের পানি বহন করা জায়েজ। আর যারা জমজম কূপের কাছে নয়, তাদের পান করানো নববী সুন্নত।
জমজম থেকে পানি পানকারী ব্যক্তির জন্য সুন্নত হলো পুরোপুরিভাবে পরিতৃপ্ত হয়ে পান করা। ফকিহগণ জমজমের পানি পানের কিছু আদব উল্লেখ করেছেন, যেমন—কিবলামুখী হওয়া, বিসমিল্লাহ বলা, তিন শ্বাসে পান করা, পরিতৃপ্ত হওয়া, শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা ইত্যাদি।
জমজমের পানি ইবাদত মনে করে পান করা উচিত। জমজমের পানি পান করার সময় একটি বড় কাজ হলো দোয়া করা।
জাবির (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জমজমের পানি যে উদ্দেশ্য নিয়ে পান করবে তা পূরণ হবে।’


0 Comments
Do not post spam link in the comment box