সুরা আল কাহফের ১১০ নাম্বার আয়াতের তাফসির (শির্ক কি?)

 সুরা আল কাহফের ১১০ নাম্বার আয়াতের তাফসির:

এই আয়াতের সম্পূর্ণ তাফসিরটা পড়ার অনুরোধ রইলো


আয়াতকে ইসলাম ধর্মের ভিত্তি বলা হয়ে থাকে, এখানে এমন দু'টি শর্ত বৰ্ণনা করা হয়েছে যার উপরই সমস্ত দ্বীন নির্ভর করছে। এক, কার ইবাদত করছে দুই, কিভাবে করছে। একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করতে হবে ইখলাসের সাথে। আবার সে ইবাদত হতে হবে নেক আমলের মানে ভালো কাজের মাধ্যমে। আর নেকআমল হবে একমাত্র রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) দেখানো পথে। এক কথায় শির্ক বিদআত থেকে দূরে থাকার ব্যাপারে আয়াতে সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে।

এখানে উল্লেখিত শির্ক শব্দ দ্বারা যাবতীয় শির্কই বোঝানো হয়েছে, এরমধ্যে কিছু কিছু শির্ক আছে যেগুলো শির্ক হওয়া খুবই স্পষ্ট তাই তা থেকে বাঁচা খুব সহজ কিন্তু আরো কিছু শির্ক আছে যেগুলো খুব সুক্ষ্ম বা গোপন। সমস্ত গোপন শির্কের উদাহরণের মধ্যে আছে, সামান্য রিয়া মানে সামান্য লোক দেখানো মনোবৃত্তি। এই আয়াতে যাবতীয় শির্ক হতে, তবে বিশেষ করে রিয়াকারীর গোপন শির্ক থেকে বারণ করা হয়েছে। আমল আল্লাহর উদ্দেশ্যে হলেও যদি তার সাথে কোনপ্রকার সুনাম অর্জন প্রভাব-প্রতিপত্তির বাসনা থাকে বা অন্য কোন স্বার্থ থাকে, তবে তাও এক প্রকার গোপন শির্ক এর ফলে মানুষের আমল নষ্ট এবং ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।

মাহমুদ ইবনে লবীদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদের সম্পর্কে যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ভয় করি, তা হচ্ছে ছোট শির্ক সাহাবাগন বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ছোট শির্ক কি? তিনি বললেন, রিয়া(লোক দেখানো) [আহমাদঃ /৪২৮, ৪২৯।

কেয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা যখন বান্দাদের কাজকর্মের প্রতিদান দেবেন, তখন রিয়াকার লোকদেরকে বলবেন, তোমরা তোমাদের কাজের প্রতিদান নেয়ার জন্য তাদের কাছে যাও, যাদেরকে দেখানোর উদ্দেশ্যে তোমরা কাজ করেছিলে। এরপর দেখ, তাদের কাছে তোমাদের জন্য কোন প্রতিদান আছে কিনা।

সেজন্য আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,যে আখিরাতে তার রবের সাক্ষাৎ চায়, সে যেন তার রবের সাথে কাউকে শরীক না করে এবং ভালো কাজ (নেক আমল) করতে থাকে।




Post a Comment

0 Comments