গোসলের সুন্নাত ও আদব

●গোসলের সুন্নাত ও আদব



****************---ফরজ গোসলের ৩টি ফরজ---গড়গড়ার সাথে কুলি করা, নাকের ভিতরে পানি দেয়া, সমস্ত শরীর উত্তম ভাবে ধৌত করা।

১. ফরজ গোসলের আগে পেশাব করে নিবে।

২. ওজুর শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পড়বে।

৩. কাপড় বা শরীরের কোন স্থানে নাপাক ময়লা লেগে থাকলে

তিনবার ধুয়ে তা পরিস্কার করবে।

৪. নাপাক লাগা থাকুক বা না থাকুক উভয় অবস্থায়

লজ্জাস্থান ধৌত করা। অতঃপর উভয় হাত ধৌত করা।

৫. উভয় হাত কব্জিসহ পৃথক পৃথক ভাবে ধুয়ে নেওয়া।

৬. সর্ব প্রথম মাথায় পানি ঢালবে।

৭. তারপর ডান কাঁধে পানি ঢালবে।

৮.তারপর বাম কাঁধে পানি…

যে সব কারণে গোসল ফরজ হয়:


১. স্বপ্নদোষ বা উত্তেজনাবশত বীর্যপাত হলে। ২. স্বপ্নের কথা স্মরণ থাকুক বা না থাকুক শরীরে, কাপড়ে বা বিছানায় বীর্যের চিহ্ন দেখতে পেলে। ৩. নারী-পুরুষ মিলনে সহবাসে বীর্যপাত হোক আর নাই হোক। ৪. মহিলাদের মাসিক ঋতুস্রাব (হায়িয) বন্ধ হলে। ৫. নিফাস (সন্তান প্রসবের পর যে রক্ত স্রাব হয় তা) শেষ হলে। ৬. ইসলাম গ্রহণ করলে (নব-মুসলিম হলে)। ৭. স্ত্রী-পুরুষ কারও উত্তেজনার সাথে বীর্য বের হলে ফরজ গোসল ছাড়া নামাজ হবে না।

[5:57 pm, 03/02/2022] +880 1580-842363: ❤️মৃত্যু আসিতেছে... যেকোনো সময়...যেকোনো জায়গায়...যেকোনো অবস্থায়...আমাকে থামিয়ে দিবে...অথবা আমার প্রিয়জনকে আমার থেকে কেড়ে নিবে... আসুন আল্লাহকে ভয় করি... সুন্নতি জীবন গড়ি...💚                       ------------------    শুক্রবার বা জুমার দিনের বিশেষ আমল সমূহ :-                                  (((বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর থেকে শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত জুমাবার বা শুক্রবার))) ------------------                        ১.বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সারাদিনই বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ করা,


২. ফজরের নামাজের পরপরই সব কাজ গুছিয়ে ফেলে সকাল-সকাল জুমার নামাজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া,


৩. মেসওয়াক করা, নখ কাটা, গোফ খাটো করা,শরীরের গুপ্তঅঙ্গের লোম পরিষ্কার করা,উত্তমভাবে গোসল করা,


৪. নিজ সাধ্যমত উত্তম পোশাক পরা,


৫.সুগন্ধি ব্যবহার করা, তেল ব্যবহার করা,


৬. আযানের অপেক্ষা না করে আগেভাগে মসজিদে যাওয়া, মসজিদ বেশি দূরে না হলে পায়ে হেঁটে যাওয়া,


৭.ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসা,


৮. মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেঁয়াজ, রসুন না খাওয়া, ধূমপান না করা, মসজিদে গিয়ে মুসল্লিদের টপকিয়ে সামনে যাওয়ার চেষ্টা না করা যেখানে জায়গা পাওয়া যায় সেখানে বসে পড়া, কাউকে উঠিয়ে তার জায়গায় বসার চেষ্টা না করা,


৯.খুতবা চলাকালে কোনো কথা না বলা, এমন কি কেউ কথা বললে তাকে থামতে বলার জন্য কথা না বলে ইশারা করা,


১০.মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা,


১১.দুই খুতবার মাঝে ও আসর এবং মাগরিব এর মাঝে বিশেষভাবে দোয়া করা, এছাড়া শুক্রবার সারাদিনই দোয়া কবুলের সময়,


১২.সূরা দুখান (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে) ও সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করা...                            

১৩. ( সময় সুযোগ থাকলে সালাতুত্ তাসবীহ নামাজ পড়ার চেষ্টা করা... যেহেতু, এ দিন সাধারণত আমরা ফ্রি থাকি, অন্যদিন ব্যস্ততার কারণে পড়া হয়না।)               আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে এ আমলসমূহ করার তৌফিক দান করেন,আমিন। 

Post a Comment

0 Comments