ফরজ গোসলের নিয়ম ? গোসল ফরজ হয় ছয়টি কারনে।

 ফরজ গোসলের নিয়ম 

ফরজ গোসলের নিয়ম

গোসল ফরজ হয় ছয়টি কারনে।

১.স্বামী স্ত্রীর মিলনে বীর্য নির্গত হোক বা না হোক।
২.নারী পুরুষ কারো স্বপ্ন দোষ হলে।
৩.উত্তেজনাবশত বীর্য নির্গত হলে।
৪.নারীদের হায়েয/পিরিয়ড(নিম্নে তিন উর্ধ্বে দশ দিন) শেষ হলে।
৫.সন্তান প্রসবে নিফাসের সময় শেষ হলে(উর্ধ্বে চল্লিশ দিন).
৬.শরীরের কোন স্থানে নাপাকী লাগলে এবং তার চিহ্ন নির্ণয় করতে না পারলে ফরজ গোসল করতে হবে। সমস্ত শরীরে নাপাকী লাগলেও ফরজ গোসল করতে হবে।
তিরমিজি ১১১(ই,ফা),
আবু দাউদ ২৩৬,২০৬(ই,ফা)
হাদিসের মান সহিহ

ফরজ গোসলের নিয়মঃ

১.গোসল করার পূর্বে মনে মনে স্থির করে নিতে হবে যে আমি পাক পবিত্রতার জন্য গোসল করছি।
২.অতঃপর বিসমিল্লাহ বলে দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত তিন বার ধৌত করতে হবে।
৩.লজ্জাস্থান ভালো ভাবে তিনবার ধৌত করতে হবে এবং শরীরের কোথাও নাপাকী লেগে থাকলে তাও পরিষ্কার করতে হবে। অতঃপর কাপড়ের নাপাকী ভালো ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
৪.অতঃপর নামাজের অজুর ন্যায় অজু করে নিতে হবে।
৫.অতঃপর সমস্ত শরীরে পানি ঢেলে গোসল সম্পন্ন করতে হবে।
৬. তবে গোসলের স্থানে পানি জমে থাকলে গোসল শেষে পানি জমে থাকা জায়গা থেকে একটু সরে গিয়ে পা ধৌত করতে হবে।
বুখারী ২৪৭(ই,ফা),
মুসনাদে আহমাদ ১২৬৯৪,
মিশকাত ৪৩৫
হাদিসের মান সহিহ

শরীরে পানি ঢালার নিয়মঃ

১.প্রথমে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।
২.অতঃপর তিনবার ডান কাঁধে।
৩.অতঃপর তিনবার বাম কাঁধে।
৪.তারপর সমস্ত শরীরে পানি ঢালতে হবে।
বুখারী ২৫৩,২৫৫,২৭৪
হাদিসের মান সহিহ

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃফরজ গোসলে সমস্ত শরীরে ভালো ভাবে পানি পৌঁছাতে হবে। চুলের গোড়া, ভ্রু,গোঁফ,দাড়ি,দাঁতের গোড়া,নাকের ছিদ্র,কানের ভিতর, কানের লতির ছিদ্র,কানের পিছনে, নাভীর ভিতর, পায়ের ফাটা,আঙ্গুল এর ভাঁজ, ঘাড়, গলা বগল শরীরে অন্যান্য গোপন স্থান এক কথায় সমস্ত শরীরে পানি পৌঁছাতে হবে।
উক্ত নিয়মে গোসল করলে অজু গোসল সবই হয়ে যাবে। নতুন করে অজু করার দরকার নেই।কারণ [গোসলের পরে অজু করার বিধান নেই -তিরমিজি ১০৭(ই,ফা)]
তবে গোসলের পরে অজু ভঙ্গ হওয়ার কোন কারণ ঘটলে পুনরায় অজু করতে হবে।

Post a Comment

0 Comments