শহীদ কারা? শুনুন মিজানুর রহমান আজহারীর কণ্ঠে I Mizanur Rahman Azhari I

 শহীদ কারা?

শহীদ কারা? শুনুন মিজানুর রহমান আজহারীর কণ্ঠে  Mizanur Rahman Azhari 



রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন যে তিনি মুসলিম

🔶 (১) সে তার ধর্মের জন্য হত্যা করা হয়েছিল, সে শহীদ

🔶 (২) যে ব্যক্তি নিজের জীবন বাঁচাতে হত্যা করা হয় সে শহীদ

🔶 (৩) যে ব্যক্তি তার সম্পত্তি রক্ষার জন্য নিহত হয় সে শহীদ

🔶 (৪) যে ব্যক্তি তার পরিবারকে রক্ষার জন্য নিহত হয় সে শহীদ। 

তিনি আরও বলেন, 

🔶 (৫) মহামারীতে মারা যাওয়া ব্যক্তি শহীদ,

🔶 (৬) পেটের অসুস্থতায় (কলেরা, ডায়রিয়ায়) মারা যাওয়া ব্যক্তি শহীদ,

🔶 (৭) যে ব্যক্তি ডুবে মারা যায় সে শহীদ।

🔶 (৮) নিপীড়নের অবস্থায় যে ব্যক্তি নিহত হয় সে শহীদ।

🔶 (৯) যে ব্যক্তি তার ন্যায়বিচারের অধিকার রক্ষায় নিহত হয় সে একজন শহীদ।

রাসূল (ছাঃ) অন্যত্র বলেন, আল্লাহর রাস্তায় নিহত ব্যক্তি ছাড়াও আরও সাত জন ‘শহীদ’ রয়েছে। তারা হ’ল : 

🔷 (১) মহামারীতে একজন ব্যক্তি (বিশ্বাসী) মারা গেছেন

🔷 (২) মৃত ব্যক্তি পানিতে ডুবে থাকা

🔷 (৩) 'জাতুল জাম্ব' নামক মারাত্মক রোগে মারা যাওয়া ব্যক্তি

🔷 (৪) (কলেরা বা অনুরূপ) ব্যক্তি যিনি পেটের অসুস্থতায় মারা যান

🔷 (৫) আগুনে মারা যাওয়া ব্যক্তি

🔷 (৬) মৃত ব্যক্তি ভূমিধসে পিষ্ট হয়ে পড়েছিল

🔷 (৭) গর্ভাবস্থায় মারা যাওয়া একজন মহিলা।

উল্লেখ্য যে, ঐ সকল মুমিন ব্যক্তি আখেরাতে শহীদের নেকী পাবেন। যদিও দুনিয়াতে তাদের গোসল ও জানাযা করা হবে। পক্ষান্তরে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধে নিহত শহীদের গোসল নেই। তিনি ঐ অবস্থায় ক্বিয়ামতের দিন উঠবেন।[7]

শহীদগণ তিন শ্রেণীর : 

🔘 (১) যারা দুনিয়া ও আখেরাতে শহীদ। এঁরা হ’লেন, যারা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে নিহত হয়েছিল ।

🔘 (২) পরকালে শহীদ। তারা উল্লিখিত উপরে বর্ণিত অন্যান্য শহীদগণ 

🔘(৩) পরকালে নয়, এই দুনিয়াতে শহীদ। তারাই যুদ্ধের ময়দানে ছিনতাইকারী বা জিহাদ থেকে পালানোর সময় নিহত হয়।[8] অর্থাৎ লোক দেখানো কপট শহীদ।

পরস্পরে মারামারি ও যুদ্ধ-বিগ্রহ মানুষ ও পশু-পক্ষী সকল প্রাণীর স্বভাবগত বিষয়। স্ব স্ব স্বার্থ রক্ষার জন্য মানুষ পরস্পরে যুদ্ধ করে। ধর্মীয় স্বার্থে হ’লে তখন সেটা ‘ধর্মযুদ্ধে’ পরিণত হয়। সেকারণ প্রত্যেক ধর্মেই যুদ্ধ একটি স্বীকৃত বিধান। ইসলাম আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ দ্বীন। যা সকল মানুষের কল্যাণে অবতীর্ণ হয়েছে। তাই হিন্দু-বৌদ্ধ-জৈন সহ সকল মানবরচিত ধর্ম এবং ইহূদী-নাছারা সহ পূর্ববর্তী সকল এলাহী ধর্ম, যা এখন  মানসূখ বা হুকুমরহিত হিসাবে গণ্য; এসব ধর্ম রক্ষার জন্য লড়াই করাকে ‘জিহাদ’ বলা হবে না। বরং ঐসব ধর্মের অনুসারীদের হামলা থেকে ইসলামকে রক্ষা করার লড়াইকে ‘জিহাদ’ বলা হবে। ইসলামে জিহাদ বা যুদ্ধবিধান সম্পূর্ণরূপে দ্বীনের নিরিখে রচিত।

Post a Comment

0 Comments